বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, প্রকাশক , জনতারআদালত.কম । ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ।
প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশ টেলিভিশনে বহুল প্রচারিত- নাটকের একটি বিখ্যাত ডায়ালগ- “থামলে ভালো লাগে”। উক্ত ডায়ালগের আজ দেশ ও সমাজে বিশেষ প্রয়োজন বিদ্যমান। স্বাধীনতার শত্রু ও পাকিস্তানীদের সহায়তায় এদেশী কিছু দালালগোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ক্ষমতার লোভে তৎপর। দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল-মডেল, ঠিক তখনই দেশবিরোধী ও মানবতা বিরোধী শক্তি দেশে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে চলেছে। এর উপর আবার বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যাটি এমনই প্রকট যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া ।
দেশের পেটের ভেতর ঢুকে রয়েছে জামাত-বিএনপি ও জঙ্গিগোষ্ঠীর ধ্বংসাত্মক তৎপরতা, আরও ঢুকেছে সমাজবিরোধী দুর্নীতিবাজরা। তাদের তৎপরতায় বাংলাদেশ যখন খুবই অস্থির, তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই গণতন্ত্র কায়েম করতে যাচ্ছে। আর ঠিক তখনই, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বিশেষ করে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আই.এস.আই –এর প্রত্যক্ষ নির্দেশে “আরাকান মুসলিম সেনাবাহিনী” (যারা তাদের নিজেদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে) গত ২৫শে আগস্ট মায়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের ৭৮ জন সদস্যকে হত্যা করে।
সেই অজুহাতে, মায়ানমার সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অমানবিকভাবে রোহিঙ্গা-মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়, লুটতরাজ চালায় ও গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করে।
সবচেয়ে দুঃখজনক ও পৈশাচিক বর্বরতার ঘটনা ঘটিয়েছে রোহিঙ্গা নারীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে, সম্ভ্রম নষ্ট করে। যা মিডিয়ার বদৌলতে সারাবিশ্ব জানতে পেরেছে। হাজার-হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহুকষ্টে মায়ানমারের সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এদেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি ভারী করে তুলেছে।
মায়ানমার সেনাবাহিনী নির্মমভাবে হাজার-হাজার মুসলিম নরনারী হত্যা করছে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, সমগ্র আরববিশ্ব নীরব। মনে হচ্ছে, তারা বোবা ও অন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু- তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া ও ইরান এই সঙ্কট মোকাবেলায় ও রোহিঙ্গাদের দুঃখ লাঘবে বাংলাদেশের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ মানবিক কারণে প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। খাদ্য, চিকিৎসা ও থাকার জায়গা করে দিয়েছেন। মায়ানমার সরকারকে বাংলাদেশ বারবার আহ্বান করেছে তাদের এই দমন-পীড়ন বন্ধের, তাগিদ দিয়েছে তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে।
কিন্তু, গণতন্ত্রের লেবেল লাগানো মায়ানমারের সামরিক জান্তা কোনোকিছু তোয়াক্কা না করে অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মাইক দিয়ে প্রচার করছে- “রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মায়ানমার ত্যাগ করতে হবে, নতুবা সবাইকে মেরে ফেলা হবে”!
জাতিসংঘ, আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, সুইডেন ও কানাডার মতো প্রভাবশালী দেশগুলি মায়ানমারকে বারংবার সতর্ক করে চলেছে- এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে ও রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু কার কথা কে শোনে, রোহিঙ্গাদের উপর নাসাকা বাহিনীর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশের স্রষ্টা- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা, ১৭ কোটি বাঙ্গালীর আপদ-বিপদের শেষ ঠিকানা, সুখ-দুঃখের সাথী, নির্ভীক দেশপ্রেমিক, মমতাময়ী জননেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ই সেপ্টেম্বর মায়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃক বিতাড়িত-নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম নরনারী, বৃদ্ধ ও শিশুদের দেখতে কক্সবাজার সীমান্তে গিয়েছেন।
অমানবিক এই দৃশ্য দেখে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোটো বোন শেখ রেহানা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছেন ও অনেক ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়ে সান্ত্বনায় বলেছেন- যতোদিন মায়ানমার সরকার তাদের ফেরত না নিবে, ততোদিন তারা বাংলাদেশেই থাকবে এবং শেখ হাসিনার সরকার তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিবে।
মায়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক অত্যাচারিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত সমস্ত রোহিঙ্গা-মুসলিম ভাইবোনদের সসম্মানে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মায়ানমার সরকারকে কঠিন বার্তায় সতর্ক করা হয়েছে, যার সুর হলো- “ থামলে ভালো লাগে ”।
লেখার শুরুতেই বলেছিলাম, দেশের পেটের ভেতর বিএনপি-জামাত, জঙ্গিগোষ্ঠী ও দুর্নীতিবাজদের অত্যাচারের কথা। তাদের কথা-বার্তায় মনে হয়, এই রকম একটি পরিস্থিতি তারা আগে থেকেই চেয়ে আসছে। ঠিকই, ক্ষমতা লাভের অশুভ উদ্দেশ্যে তারা এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পেরেছে বটে। কিন্তু বিধিবাম, তারা তো সবসময়েই পরাজিতশক্তি। তারা উত্তরপাড়ায় পরীক্ষায় ফেইল করে মধ্যপাড়ায় গোলমাল সৃষ্টি করে। তাদের অনেক নেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনে করেছিলো তাদের যুবরাজ ও ম্যাডাম টেমস নদীর তীরে ইউরোপের সুগন্ধী হাওয়া খেতে খেতে ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে “ছু-মন্তর” বলে এক মারাত্মক কূটচাল পাঠিয়ে ছিলো ঢাকার মধ্যপাড়ায় ।
কিন্তু এবারও বিধিবাম। দক্ষ প্রশাসক ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ধরা খেয়ে বি.এন.পি’র বাড়া ভাতে পানি দিয়ে সমস্তকিছু ফাঁস করে বিএনপি’র মুখে চুনকালি দিয়ে অবশেষে চক্রান্তের বলীর পাঠা দেশ ত্যাগ করেছেন।
সম্মানিত পাঠক, বিরক্ত না হলে একটি গল্প বলি, দয়া করে শুনুনঃ-
এক চোরের চুরির অত্যাচারে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। গ্রামের লোকেরা চোরটিকে ধরে এনে দরবার করেছে, বহুবার উত্তম-মধ্যম দিয়েছে, কানে ধরিয়ে উঠ-বস করিয়েছে, মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে। কিন্তু তবুও, বিশ্ব-বেহায়া চোর তার চুরির অভ্যাস ছাড়ে নাই। অবশেষে, গ্রামের লোকজন সবাই মিলে বুদ্ধি আঁটলো- সকলে মিলে টাকা খরচ করে এবার চোরটিকে হজ্জে পাঠাবে। এতে হয়তো চোরটি চুরি করা ছেড়ে দেবে। গ্রামের মানুষ কথা মতো ঐ চোরটিকে হজ্জে পাঠিয়ে দিলো। তখনকার সময় হজ্জে যেতে হতো পানির জাহাজে। চোরসহ হজ্জে যাওয়া যাত্রীরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলো। কিন্তু চোরটি মাঝরাতে বরাবরের মতো চুরি করার জন্য জেগে যায়। চুরি করার পর মালামাল নিয়ে সে কোথায়-কিভাবে যাবে –তার উপায় পাচ্ছিলো না, কারণ সে জাহাজে, আর জাহাজটি মধ্য সমুদ্রে। চোরটি তখন অভ্যাসের দোষে একজনের ব্যাগ আরেকজনের ব্যাগের সাথে ওলট-পালট করে রাখে। একে একে জাহাজটির সব যাত্রীর মালামালই এভাবে উল্টে-পাল্টে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে যাত্রীরা তাদের মালামাল ঠিক জায়গায় না পেয়ে হৈচৈ শুরু করে। তখন চোর সাহেব বললো- আমার তো অনেকদিনের চুরির অভ্যাস, তাই আমি এসব করে ফেলেছি। একথা শুনে যাত্রীরা তাকে বেশ উত্তম-মধ্যম দেয়। পরে চোরটি বলে ওঠে- এতোদিনের চুরির অভ্যাস তো আর একদিনে বদলানো সম্ভব না। হজ্জে গিয়ে তওবা করবো, আর এসব কাজ করবো না।
যাই হোক, পাকি এজেন্ট ও তাদের এদেশীয় দালাল, ক্ষমতালোভী-চক্রান্তকারীরা মায়ানমারে ২৫শে আগস্ট দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। যার ফলে, মায়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা-মুসলমানদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন করে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। লাখ-লাখ রোহিঙ্গা চলমান এই অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে যখন দলেদলে চলে আসছে, তখন চক্রান্তকারীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। যেনো, এবার কাজ হবে, তাদের আশা পূরণ হবে! যুদ্ধ হবে মায়ানমারের সাথে! চীন-ভারত-রাশিয়া মায়ানমারের পক্ষে থাকবে, আর বাংলাদেশ পরাজিত হবে! শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বে! –এসব ভেবে তারা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে।
এদিকে, ম্যাডাম দেশে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু আবারো বিধিবাম, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সুচতুর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ানমার থেকে বিতাড়িত সমস্ত রোহিঙ্গা-মুসলমান ভাইবোনদের বাংলাদেশে থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন এবং বললেন- যতোদিন না রোহিঙ্গা ভাইবোনদের মায়ানমার সরকার তাদের দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে, ততোদিন সবাই বাংলাদেশেই থাকবে এবং আমি তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করবো। আলহা’মদুলিল্লাহ, রোহিঙ্গারা খুশি। দেশের মানুষ খুশি। বিশ্বের বড়বড় নেতাদের প্রশংসায় প্রশংসিত হলেন বিশ্বনেত্রী, মানবতার নেত্রী, বিশ্ব-শান্তিদূত, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের একমাত্র ভরসা- জননেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চক্রান্তকারীরা আবারো পরাভূত হলো বিশ্ব মানবতার প্রতীক, বিশ্বনেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কাছে।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল-মডেল। সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষাকল্পে জামাত, বিএনপি, জঙ্গী, অতিবিপ্লবী ও দুর্নীতিবাজদের মুক্তিকামী জনতা বলছে- আর কোনোরূপ চক্রান্ত না করে, অশুভদৃষ্টি নিয়ে লাফালাফি বন্ধ করুন, আপনাদের “থামলে ভালো লাগে”।
ইদানিং, বাংলাদেশের অনেক রাজনৈতিক নেতারা অযথাই বেশি কথা বলেন। আবার, তারা গণতন্ত্রে ভরপুর টকশোতেও কথা বলেন। কথা বলাটা মানুষের স্বাভাবিক ক্রিয়া। কিন্তু, কতিপয় ব্যর্থ রাজনীতিবিদ অনেক বেশিই কথা বলে থাকেন। কিন্তু কাজের বেলায়- ঠনঠনানি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। আর প্রায় ১৫/১৬ মাস বাকি। এখনই অনেক নেতাই ক্ষমতায় আসবে বলে অগ্রিম কামাই আরম্ভ করে দিয়েছে। তারা আবার সরকারকে নানান দোষে দোষারোপ করছে যার কোনোরূপ সত্যতা পাওয়া যায় না। অনেক নেতাই দেখি টিভির টকশোতে এসে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করছে। “দেশে গণতন্ত্র নেই, সরকার গণতন্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। গণতন্ত্র বিহীন দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।” এরূপ নানা রকম প্রলাপ বকছে।
বিশ্বখ্যাত টক-শো
ভাইজানেরা, নিজেদের চেহারাগুলি দয়া করে আয়নাতে একবার দেখবেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন- গণতন্ত্র না থাকলে টিভিতে বসে কিভাবে সরকারের সমালোচনা করছেন! জনসমর্থনহীন কিছু কিছু রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশনারের অফিসে গিয়ে- সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচন হবে না –এসব বলছেন। আবার ২/৩ দিন আগে টিভিতে দেখলাম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দলের এক আলোচনা সভা। সেখানেও আলোচনার বিষয়- সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তথাকথিত সুশীল সমাজ
দেখলাম, উনারা প্রত্যেকেই বিএনপি-জামাত মার্কা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। যাদের নীতি-নৈতিকতা কোথাও নেই। তাই বিএনপি নেতা ব্যানা হুদা বলেছিলেন- “এরা সুশীল সমাজ, মানে ভালো নাপিতের সমাজ। দেশের উন্নয়ন যদি করতে হয়, এদের কোনো কথাই কোনোরূপে মূল্যায়ন করা যাবে না।” আবার কোনো কোনো দল বলছে- নির্বাচনের সময় সরকার পরিবর্তন করতে হবে। কেউ বলছে- সহায়ক সরকার, কেউ বলছে- নির্বাচনকালীন সরকার, আবার কেউ বলছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
আবার, সরকারের ২/১ জন মাননীয় মন্ত্রীগণ বলেছেন- নির্বাচনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সরকার গঠন করবেন। যা পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশনার। আপাত দৃষ্টিতে উনাদের এসব কথায় মনে হয়- উনারা কেউই বাংলাদেশের সংবিধান পড়েন নাই। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থে নিজেদের মনগড়া সংবিধান পড়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তাই, এদের কার্যকলাপ দেখে-শুনে ক্ষেপে গিয়ে মুক্তিকামী জনতার এক আওয়াজ-
“ থামলে ভালো লাগে ……. ”