ডেস্ক রিপোর্ট , জনতারআদালত.কম ।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রয়েছে বলেই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে। স্থিতিশীল পরিস্থিতি না থাকলে এটা সম্ভব হতো না। রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের আলোচনায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু। ৫০ বছর আগে ১৯৭৩ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তির প্রতীক জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে এভাবেই আখ্যায়িত করেছিলেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল রমেশ চন্দ্র।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে ডাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব ডাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথায় তিনি বলে গেছেন।
জাতির পিতা পররাষ্ট্রনীতিরকথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা পররাষ্ট্রনীতি আমরা আজও মেনে চলি। মেনে চলতে চাই। জাতির পিতা সব সময় মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎস কর্ম করছেন। বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন। যিনি সর্বদা শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবন দিতে হলো। প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের উন্নয়ন করেছে বলেই আজকে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কম, স্বাক্ষরতা হার বেড়েছে, মাতৃমৃত্যু হার কম। বাংলাদেশের মানুষ আর ভিক্ষা করে চলবে না, নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে- সেটাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ ছিল; সেটা আমরা ১৮.৭ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ছিল ২৫.৯ শতাংশ, এটা আমরা ৫.৬ ভাগে আনতে পেরেছি। এ দেশের কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না; প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার পাবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাব, সেই পরকিল্পনাও আমরা নিয়েছি।‘