38 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
spot_img

অদূর ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হাব : জাপানি রাষ্ট্রদূত

ডেস্ক রিপোর্ট , জনতারআদালত.কম ।।

বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, চট্টগ্রাম প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর একটি নগরী। চট্টগ্রামকে ঘিরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে এই নগরী হবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাব। এখানে পর্র্যটন শিল্পেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে চসিকের অস্থায়ী ভবনে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রশংসনীয়। আগামী ৫ বছরের মধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে উন্নয়নের নতুন ধাপে নিয়ে উন্নীত হবে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুইদেশের বন্ধুত্ব কেবল পারস্পরিক স্বার্থের জন্য নয়, মূলত খাঁটি সহানুভূতিরই একটি অংশ। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এতে জাপান সরকার জাইকার মাধ্যমে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশ্যে বলেন, জাপান বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ। জাপানের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু সর্বদা বাংলাদেশের সাথে থাকলে উন্নয়নের গতি আরো তরান্বিত হবে। চসিকের উদ্যোগে সড়ক উন্নয়ন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অনেক উন্নয়ন কর্মকা- হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সমুদ্র বন্দর এবং এই বন্দর নগরী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক হৃৎপি-। চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণ, বে-টার্মিনাল নির্মাণ, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ বাস্তবায়নের পথে। তাই চট্টগ্রামের গুরুত্বও বহুমাত্রিক। বিশ্বের সকল প্রান্তে চট্টগ্রাম অপার সম্ভাবনাময় উর্বর অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে সমাদৃত। তিনি অতিথিকে অবগত করেন যে দেশের ১২ টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে চট্টগ্রাম অন্যতম এবং শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবদান রাখছে। এখানে চসিকের পরিচালনায় ৬০ টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫০ টির বেশি স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া জাইকার সহযোগিতায় একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেবামূলক অনেক কাজ করে যাচ্ছে জাইকা। জাইকার অর্থায়নে অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে কনজারভেন্সি সেন্টার স্থাপনের ফলে বর্তমান ও ভবিষ্যতের দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব হওয়ার নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। মেয়র কাট্টলীর সাগর পাড়ে চসিকের এমিউজমেন্ট পার্ক ও ঠা-াছড়িতে রিভোকেশনাল জোন, রেল ক্রসিং ওভারপাস নির্মাণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চর বাকলিয়ায় পর্যটন কেন্দ্র এবং শাহ আমানত ব্রিজ থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন এবং জাপানের ব্যবসায়ীরা চাইলে সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন বলে জানান।
মত বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হায়াকাওয়া ইউহো, ইতো ডিসওকি, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী এবং নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাথে থাকুন

13,562FansLike
5,909FollowersFollow
3,130SubscribersSubscribe

সর্বশেষ