22.5 C
Dhaka
Saturday, February 8, 2025
spot_img
spot_img

৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে কৃষিযন্ত্র দেয়ার কথা শুনে বিদেশিরা অবাক হয় : কৃষিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট , জনতারআদালত.কম ।।

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে কৃষিযন্ত্র দেয়ার কথা শুনে বিদেশিরা অবাক হয়।
তিনি বলেন, দেশের কৃষি ও কৃষিবিদরা এখন স্বর্ণযুগ পার করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদারহস্তে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ইমেরিটাস বিজ্ঞানী প্রয়াত কাজী এম বদরুদ্দোজা স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএআরসি এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, সারে বিশাল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। এই ভর্তুকির কথা শুনে বিদেশিরা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অবাক হয়, চমকে উঠে। তারা জানতে চায়, এতো ভর্তুকি প্রদান কেমনে সম্ভব? আমরা জবাবে বলি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণেই এটি সম্ভব হচ্ছে।
কৃষির রূপান্তরে কাজী বদরুদ্দোজা ছিলেন দূরদর্শী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রূপান্তরে তিনি কাজ করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে তিনি জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কাজী এম বদরুদ্দোজার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে নবীন কৃষিবিদদের আরও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ারসহ প্রবীণ-নবীন কৃষিবিদগণ কাজী এম বদরুদ্দোজার জীবনের নানাদিক তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন।
পরে কৃষিমন্ত্রীর সাথে নেপালের কৃষি, সমবায় ও প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন ড. আরজু রানার নেতৃত্বে সেদেশের ১২ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড.  আব্দুর রাজ্জাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের কৃষিখাতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা তুলে ধরে বলেন, কৃষিখাতে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার ফলে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আমরা স্বস্তিতে আছি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল দুই দেশেই কৃষি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিখাতে দুই দেশের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে নেপালের হিল এগ্রিকালচার বা পাহাড়ি কৃষির অভিজ্ঞতাকে আমরা কাজে লাগাতে চাই।
নেপালের প্রতিনিধিদলের নেতা  ড. আরজু রানা সেদেশের কৃষির অবস্থা তুলে ধরে জানান, নেপাল একসময় খাদ্যে উদ্বৃত্ত ছিল, আর এখন খাদ্যের ঘাটতি।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সর্বশেষ