বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, প্রকাশক, জনতারআদালত.কম । ৩ নভেম্বর, ২০১৭ ।
১৯৬৭ সালে তখন আমি নান্দাইল থানা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। সে সময় আওয়ামীলীগ নেতা অনলবর্ষী বক্তা জনাব রফিক উদ্দিন ভূইয়া নান্দাইল থানার মধুপুর গেলেন জনসভা করতে । দাবী একটাই মেখ মুজিবের মুক্তি চাই। ৬ দফার বাস্তবায়ন চাই। পাক বাহিনী জনসভা করতে দিবে না। তারা ব্যারিকেড দিলো।
আমার নেতৃত্বে ছাত্রদের মিছিল চললো এক পর্যায়ে আমি পাক আর্মির এক অফিসারকে লক্ষ করে ইটের ঢিল মারলাম। পাক অফিসারের কপাল ফেটে গেল। আমাকে গ্রেফতার করে নিতে চাইলো কিন্তু ছাত্র জনতার প্রতিবাদের মুখে শেষে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো। আমার উপর ৭/৮ টি মামলা হলো। হুলিয়া জারি হলো। হুলিয়া মাথায় নিয়ে পরীক্ষার সেন্টার বদল করে ১৯৬৯ সালে সামরিক শাসনের মধ্যে এস.এস.সি পরীক্ষা দিলাম।
যাক সেসব কথা, মনে হলে হাসিও পায় আবার কষ্টও লাগে যখন দেখি স্বাধীন দেশে আবার মুসলীম লীগের কুসন্তানরা ছদ্ম বেশে আওয়ামীলীগে ঢুকেছে, মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশ করেছে। এরাই আবার বিভীষণ সেজে, মায়াকান্না করে দলে ভিড়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাঙ্গালী জাতির ত্রাণকর্তা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে এদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুকে মারার আগে ১৯৭৪ সালে পরাজিত শক্তির দোসর সিরাজ শিকদার পার্টি সারা দেশে ৩৬ হাজার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদেরকে পাশবিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছিল। তারা ভেবেছিল, আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের হত্যা করলেই বঙ্গবন্ধু মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়বে। সিরাজ শিকদার পার্টি পুলিশের থানা লুট করেছে। খাদ্যের গুদাম লুট করেছে। ব্যাংক লুট করে টাকা নিয়াছে। তারা সকল ধ্বংসাত্মক কাজ করেছিল বঙ্গবন্ধুকে দুবর্ল করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে হত্যা করে আবার পাকিস্তান কায়েম করতে ।
সিরাজ শিকদার
কিন্তু ইয়াজিদের বংশধর, মীরজাফরের অনুচরেরা বঙ্গবন্ধুকে শারিরীকভাবে হত্যা করেছে ঠিকই কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারে নাই। তাই বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হসিনার নেতৃত্বে মাথা উঁচু করে মর্যাদার সহিত দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি কারো দিকে চেয়ে থাকে না সাহায্যের জন্য। আজ বাংলায় কোন মানুষই অশান্তিতে নেই, অভাবেও নেই। আজ বাংলায় খালি গায়ে, খালি পায়ে এবং খালি পেটে কোন মানুষ পাওয়া যায় না। সবই শেখ হাসিনার অবদান।
সারা বিশ্ব তাকিয়ে থাকে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে কিন্তু পাকিস্তান নামক জঙ্গী রাষ্ট্রটি আমাদেরকে হিংসা করে কারণ তারা বাংলাদেশকে শাসন, শোষণ করতো। আর আল্লাহ্র মাইর দুনিয়ার বাইর বাংলার নেত্রী শেখ হাসিনা এখন পাকিস্তানসহ সারা বিশ্বকে শাসন করে। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনাকে সমীহ করে, কারণ তিনি বিশ্ব মানবতার প্রতীক। তাইতো সামাজিক মিডিয়ার বদৌলতে বাংলার মানুষ জানতে পেরেছে পাকিস্তানের পেয়ারের বন্ধু এক সাথে চলার সাথী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া পাকিস্তানী গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে লন্ডনে গোপন আতাতের কথা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবী তারেক রহমান আইএসআই এর সহযোগী
বিশ্ব সন্ত্রাসী সংগঠন লস্করে তৈয়বার জানী দোস্ত, পরানের আত্মা তারেক রহমান পূর্ব থেকে ফেরারী আসামী হিসাবে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাই ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করতে কোনরুপ অসুবিধা হয় নাই। তার প্রমাণ লন্ডন থেকে ঢাকা হয়ে কক্সবাজারের উখিয়া বিষবাষ্প রোহিঙ্গা ষড়যন্ত্রের ক্যাম্প পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীতে। আশাকরি পাঠক কোনমতেই ভুল করবেন না। আগেও আপনারা কোন ভুল করেন নাই। খালেদার লন্ডন-উখিয়া যাত্রাপথে লোকজনের সমাবেশ বিএনপি’র সমাবেশ নয় এই সব পরিকল্পিত সমাবেশ, পাকিস্তানী পরাজিত শক্তির সমাবেশ। এই সমাবেশ আওয়ামীলীগ বিরোধী শক্তির সমাবেশ তথা বাংলাদেশ বিরোধী সামাবেশ।
এই খবরটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এই সব সমাবেশে বা মিছিলে যারা অংশগ্রহণ করে তারা হলো পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা পরিচালিত বিভিন্ন নামে জঙ্গীগোষ্ঠী, জামাত শিবির, বিএনপি ও তার তথাকথিত বিশ দল, হাতে গোনা কিছু বামপন্থী তাও আবার স্বার্থের জন্য মধ্যে মধ্যে গোষ্টী স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কোদাল-কাস্তে নিয়া আওয়ামীলীগ ঠেকানোর নামে প্রকারান্তরে পাকিবন্ধুদের সহায়তা করতে অথবা বিভিন্ন পর্যায়ে স্বার্থ হাসিল করতে।
আল্লাহ্ তায়ালা অনেক কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেজন্য আল্লাহ্র কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। কিভাবে তথাকথিত বামপন্থীরা পাকিস্তান আমলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গালাগালি করেছেন। শেষে আবার শেখ মুজিবের নেতৃত্বও মেনে চলতে বাধ্য হয়েছেন। আবার সুযোগ পেলে বিভীষণের মতো আঘাতও করেছেন। সবই কিন্তু পাকিস্তানপ্রীতিতেই করেছেন। আবার স্বাধীনতার পরে ১৯৭৪ সালে এই সব বামপন্থীরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার জন্য ১৫ জন সংসদ সদস্যসহ ৩৬ হাজার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে এই বামপন্থী ধ্বজাধারী, বকধার্মিক, পাকিস্তানী এজেন্ট, ক্ষমতালোভী সিরাজ শিকদারসহ কিছু বামপন্থী নেতা।
স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক বাহিনীর দোসর, রাজাকার আলবদর, আলশামসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ৩০ লাখ বাঙ্গালীকে হত্যা করেছে। দুই লক্ষ মা, বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে। তাদের বিচারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করেছেন, বিচার কার্য চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার প্রতি আমাদের আকুল আবেদন ১৯৭৪ সালে সিরাজ শিকদার পার্টি কর্তৃক ৩৬ হাজার আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর হত্যার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের জন্য আপনার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। কারণ ভুক্তভোগীর কি কষ্ট একমাত্র ভুক্তভোগীই জানেন।
বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ১৯৭৪ সালের মুক্তিযোদ্ধা মজিদ হত্যার বিচার আমরা আদালতের মাধ্যমে আরম্ভ করি। যাহার মামলা নং- থানা ত্রিশাল, ১৬৭/১৬ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি রাজাকার, আলবদর, সিরাজ শিকদার পার্টি ও মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী মসুলিমলীগের সন্তানরা। কিছু আসামী জেল হাজতে আছে। বাকী আসামী পলাতক আছে। ময়মনসিংহ-৪ এলাকার নির্বাচিত এম.পি এডভোকেট ইমাম আলীকে ১৯৭৪ সালের ৩০শে জুলাই সিরাজ শিকদার পার্টি বউ-বাচ্চার সামনে গুলি করে হত্যা করে। তাহার চূড়ান্ত বিচার চেয়ে ইমান ভাইয়ের সৃহৃদ হিসাবে তাহার ছেলে মেয়েকে স্বাক্ষী রেখে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মাননীয় আদালত তদন্তপূর্বক আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে কোতয়ালী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন দুইবার, যাহার মামলা নং- ৮১৬/১৭, কিন্তু কোনো রহস্যের কারণে আইন আনুযায়ী মামলায় কাজ আরম্ভ হইতেছে না। তাহা বাদী হিসাবে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই।
তদরূপ, ত্রিশাল থানায় আরো দু’টি মামলা হয়েছে। মামলা নং ৭০২(ক) ১৭ এবং ৭০২ (খ)/১৭ এই সব মামলার সকল আসামী রাজাকার ও সিরাজ শিকদার পার্টির লোক। মাননীয় আদালত দুইবার ত্রিশাল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়াছেন আইন অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কিন্তু কোন রহস্যের কারণে সব মামলাই থেমে আছে। এটা কি আদালত অবমাননা নয় ? ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন মুক্তিযোদ্ধা ফৌজদারী কোনো অপরাধ করে থাকলে সেটি অপরাধ বলে গণ্য হবে না, কিন্তু যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধা এই সময়কালের পর কোনো ফৌজদারী অপরাধ করে থাকেন তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। যদি কোন অফিসার জেনে না থাকেন তবে আইন মন্ত্রণালয় থেকে দয়া করে আইনটি জেনে নিবেন।
মুক্তিযোদ্ধা খুনের মামলায় কোন মুক্তিযোদ্ধা স্বাক্ষী দেয় নাই। ত্রিশাল থানায় আমার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি যুদ্ধাপরাধী মামলা ট্রাইব্যুনালে চলিতেছে। ইহাতে কোন মুক্তিযোদ্ধা স্বাক্ষী দেয় নাই। এইসব অনুপ্রবেশকারী আদর্শহীন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিহীন মুক্তিযোদ্ধারা ত্রিশাল থানায় কোন রাজাকার ও রাজাকার শিরোমনি হান্নানকে চিনেন না জানেন না। ত্রিশাল থানায় কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচলিত একটি স্লোগান রয়েছে, সেটি হলো- “কে বলেছে হান্নান রাজাকার? হান্নান মোদের অহংকার!” ত্রিশাল থানা মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে, মানববন্ধনে, মিছিলে, জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় এটি একাধিকবার প্রচারিত হয়েছে। যাহার স্বাক্ষী- ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী। তাহলে, আমি ‘মুক্তিযোদ্ধা’ -নামের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, এরা কোন ধরনের মুক্তিযোদ্ধা ? এরা সিরাজ শিকদার পার্টির সশস্ত্র ক্যাডার, খুনি-সন্ত্রাসী। প্রমাণ দিবে ত্রিশাল তথা ময়মনসিংহ জনপদের মানুষ।
যাচাই করুন, তদন্ত করুন, এলাকার মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। কিন্তু সাবধান, তদন্ত করবেন অতি গোপনে। এদের কাছে এখনো লুটের অস্ত্র বিদ্যমান। মানুষ প্রকাশ্যে মুখ খুলবে না।
’৭৪ সালের দুঃখের রাত্রের বাহিনীর কথা__ ত্রিশাল থানায় পুলিশ বাহিনীকে সহযোগীতা করার জন্য দুইটি রক্ষী বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। একটি ছিলো আহমদাবাদ স্কুলে, অন্যটি ছিলো ত্রিশাল থানার পাশের স্কুলে। যেসব মুক্তিযোদ্ধা ’৭৪ সালে মানুষ খুন করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, লুট করেছে, থানা ও ফাঁড়ি লুট করেছে তারা কিসের জন্য কাহার স্বার্থের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিল। ১৬৭/১৬ নং মুক্তিযোদ্ধা মজিদ হত্যা মামলায় আঃ করিম মাষ্টার নামক এক মুক্তিযোদ্ধার বিচার কার্য আরম্ভ হইয়াছে। শুধু বেতন ভাতার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সেজে মুক্তিযোদ্ধার কলঙ্ক করবেন না। আমি আবার বলছি, আপনারা যে সাত জন অনুপ্রবেশকারী মুক্তিযোদ্ধা আসামী হয়েছেন। আপনারা আপনাদের বিবেককে আল্লাহ্র ওয়াস্তে জিজ্ঞেস করুন, আপনারা কি কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার ছাত্রলীগ বা আওয়ামীলীগ করেছেন ? করেন নাই। তাহা আমার চেয়ে কেহ বেশী জানে বলে এলাকাবাসী জানে না।
তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা কামাল পাশার বাবা ছিলেন মুসলিমলীগের ময়মনসিংহ জেলার নেতা এডভোকেট সিরাজুল হক, আপন বড় ভাই ফারুক ছিল ত্রিশাল থানার রাজাকার ওসি। আপনার বড় ভাই রাজাকার ওসি ফারুক ত্রিশাল থানায় অনেক অপকর্ম করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, লুটপাট করেছে। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাও আছে। যাহার সাক্ষীও আছে, প্রমাণও আছে। আপনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে বাবা ও ভাইয়ের স্বাধীনতা বিরোধী অপকর্মের বিচার অবশ্যই করতেন। কিন্তু করেন নাই।
আর বাকী ছয় জন দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও পূর্ব-পাকিস্তান বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির তথাকথিত বিপ্লবী নেতা আঃ জব্বারের অনুচর (তার ছেলে আসামী মুজিবর)। আপনারা কি কালীর বাজার ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচরে ট্রেনিং নিতেন না ? আপনাদের ওস্তাদ ছিল লেঃ কঃ (অবঃ) মাহফুজ বাড়ী- কিশোরগঞ্জ, বাসা ছিল ময়মনসিংহ শহরের গোলকী বাড়ী। আপনারা কি সিরাজ শিকদার পার্টির সশস্ত্র ক্যাডার ছিলেন না ? অস্বীকার করে লাভ নেই, প্রমাণ আছে।
আমি নিউজ মিডিয়ার সাথে জড়িত। সুতরাং আমার কলম কারো পরোয়া করতে পারে না। সাংবাদিকের কলম যদি কলমের মতো থাকে তবে সমাজে কোনরূপ অন্যায়, রাষ্ট্রবিরোধী কাজ এবং দূর্নীতি হইতে পারে না।
আপনারা কারা কারা বালু চরে ট্রেনিং দিতেন সবই রেকর্ড করা আছে এবং লিপিবদ্ধ করা আছে। লুট করা লক্ষ লক্ষ টাকা ও অস্ত্রশস্ত্র কিভাবে এবং কাদের মাধ্যমে কোথায় বসে বণ্টন করা হয়েছে, সবই চাক্ষুষ সাক্ষী দ্বারা প্রমাণ করা হবে।
সিরাজ শিকদারের প্রেতাত্মারা এখনও বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে। তাই তাদের খুঁজে বের করে যে অপরাধগুলি তারা করেছে আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার হবে। আর একটা কথা মনে রাখবেন আমি শুধু সিরাজ শিকদার পার্টিই খুঁজি না। রাজাকার, আলবদর, আলশামসও খুঁজি। আর দুর্নীতিবাজদেরকেও খুঁজি। তাদেরও বিচার কাজ চলছে।
অবশেষে, সবকিছু দেখে-শুনে মনে হয়, স্বাধীনতার সুতিকাগার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি স্পষ্টভাষী, আমার অত্যন্ত প্রিয় ঘনিষ্ঠ সাথী- জনাব ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আওয়ামীলীগের পতাকা তলে কোনো মুসলিমলীগের সন্তান থাকতে পারবে না।” তাদেরকে বাহির করে দেওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির ধারক-বাহক, ১৫ই আগস্ট ও ২১শে আগস্ট এবং ৩রা নভেম্বরের হত্যাকারীর দল বিএনপি-র সাথে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কোনোরূপ সংলাপ বা আলোচনা হতে পারে না।
পরিশেষে, জাতীয় নেতা স্পষ্টভাষী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জনাব ওবায়দুল কাদেরকে সময়োপযোগী উক্ত বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মতো ইতি টানছি।
(চলবে)