21 C
Dhaka
Saturday, January 25, 2025
spot_img
spot_img

বিএনপির শীর্ষ নেতারা নৈরাজ্যের দায় এড়াতে পারেন না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট , জনতারআদালত.কম ।। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ বলেছেন, বিএনপির শীর্ষ নেতারা ২৮ অক্টোবর নৈরাজ্য সৃষ্টির দায় এড়াতে পারেন না।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিদ্ধান্ত নেন এবং সেই সিদ্ধান্তে তাদের কর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স ও নারীদের ওপর হামলা চালায় এবং এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করে। সুতরাং, তারা দায় এড়াতে পারেন না।’
মন্ত্রী নগরীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে বলেন, ‘পুলিশ তদন্তে তারা দোষী প্রমাণিত না হলে খালাস দেওয়া হবে। অন্যথায় তাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তারা হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, সমাবেশ করেছে। আমরা তা দেখেছি। এর আগে তারা আগের সমাবেশগুলোতে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবর তারা তাদের সমাবেশের শুরুতেই সহিংসতা শুরু করে।’
কামাল বলেন, শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের নারী কর্মীদের ওপর হামলা হয়। পুলিশ তাদের রক্ষা করতে গেলে তারা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। তারা একের পর এক নৃশংসতায় লিপ্ত হয়ে পুলিশকে হত্যা করে। তারা সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালায়।
২৮ অক্টোবরের হামলায় একজন পুলিশ সদস্য মারা গেছে এবং অন্য একজন জীবনের জন্য লড়াই করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে এবং অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়েছে এবং যানবাহন ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করি, সেদিন যারা উপস্থিত ছিলেন তারা কেউই ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টির দায় এড়াতে পারবেন না। ওই দিন তাদের নাইটিংগেল মোড়ে থাকার কথা ছিল, কিন্তু তারা হামলার উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
তবে নৈরাজ্যের ভিডিও ফুটেজে যারা ধরা পড়েছে তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সড়কে অনেক উন্নতমানের ক্যামেরা বসিয়েছি; তারা সেদিন ক্যামেরাও ধ্বংস করেছে। তারপরও আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।’
এর আগে সকালে আওয়ামী লীগ নেতারা বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্ব দেন। তারা শহীদ জাতীয় চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে। এর কিছুদিন পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সর্বশেষ